বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সদা পরিবর্তনশীল এবং বিভিন্নরূপ শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয়ে গঠিত। এই শিক্ষা ব্যবস্থা প্রধানতঃ প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তর - এই তিন স্তরবিশিষ্ট। সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় ৬ (শিশু শ্রেণিসহ) বছর মেয়াদি প্রাথমিক (৮ বছর মেয়াদী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে), ৫ বছর মেয়াদি মাধ্যমিক ও ২ বছর মেয়াদি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে। উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা ৩-৫ বছর মেয়াদি; যা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ৩৭টি পাবলিক ও ৯০টিরও বেশি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তত্ত্বাবধানে অধিভুক্ত কলেজের (ঢাকার ৭টি সরকারী কলেজ বাদে) মাধ্যমে দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা বা ইংরেজির মধ্যে যেকোনটিকে বেছে নিতে পারে।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলেজ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া রয়েছে মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল। এগুলো যথাক্রমে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড এবং বিদেশী শিক্ষা বোর্ডের তালিকাভুক্ত। মাধ্যমিক পরবর্তী পর্যায়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালনার জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই উন্নয়ন, অনুমোদন এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্ত্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ ব্যুরো অব এডুকেশনাল ইনফরমেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স (BANBEIS) গঠন করেছে, যা সকল পর্যায়ের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট তথ্য সংরক্ষণ করে থাকে।[১]
পরিচ্ছেদসমূহ
- ১সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা
- ২কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থা
- ৩ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা
- ৪মাদ্রাসার ধরণ
- ৫ইংরেজী শিক্ষা ব্যবস্থা
- ৬প্রাথমিক শিক্ষা
- ৭মাধ্যমিক শিক্ষা
- ৮উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা
- ৯প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা
- ১০বিশ্ববিদ্যালয়
- ১১গণ শিক্ষা
- ১২শিক্ষার মাধ্যম
- ১৩সরকারী প্রণোদনা
- ১৪বেসরকারী সংস্থাসমূহের অবদান
- ১৫বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড
- ১৬বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
- ১৭পাঠ্য পুস্তক প্রকাশনা
- ১৮শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারী ও বেসরকারি কার্যক্রম
- ১৯শিক্ষার মান
- ২০তথ্যসূত্র
- ২১বহিঃসংযোগ
No comments:
Post a Comment